দেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানের পারস্পারিক দ্বন্দ্বের কথা একাধিকবার গণমাধ্যমে এসেছে। যদিও এ নিয়ে কখনই স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি এই দুই ক্রিকেটারের কেউই। অথচ একটা সময় তাদের বন্ধুত্বের গভীরতা কতটা ছিল, তা সবারই জানা। লম্বা সময়ের এই সম্পর্কে সম্প্রতি কিছুটা ভাটা পড়লেও অধিনায়ক তামিমের প্রশংসা করতে একটুও কার্পণ্য করেননি সাকিব।
এদিকে পরিসংখ্যান অধিনায়ক তামিমের পক্ষে কথা বললেও অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন এই অভিজ্ঞ ওপেনারের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে। বিশেষ করে ওয়ানডেতে, গত কয়েক মাস ধরেই কথা বলছে না তার ব্যাট। গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে দীর্ঘ ৯ মাস পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল তার স্ট্রাইকরেট। ব্যাট হাতে তার এমন ফর্মের কারণেই প্রশ্ন উঠছে তার নেতৃত্ব নিয়েও। তবে তামিমের নেতৃত্বেই আস্থা রাখার পক্ষে মত সাকিবের।
গতকাল সোমবার ইংল্যান্ডে একটি অনুষ্ঠানে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বলেন, 'এগুলো তো সবই প্রাথমিক পর্যায়। এখানে যে ভুলগুলো হচ্ছে কিংবা যে ভালো জিনিসগুলো হচ্ছে এসবই বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপ থেকে ঠিক হওয়া শুরু হবে। আমাদের সামনে খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচও নেই। আমি নিশ্চিত কোচ, অধিনায়ক এসব চিহিৃত করে। তারা খুবই ভালো চিন্তা করে যে কোন জায়গাতে আরও ভালো করলে আরও একটু ভালো হতো। আমি নিশ্চিত কখনই কোনো দলের নেতা, দেশের প্রধান দেশের জন্য বা দলের জন্য খারাপ চায় না। তাদের ইন্টেনশন কখনই খারাপ থাকে না।সিদ্ধান্ত ঠিক, ভুল সবই হতে পারে।'
এবছর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। কন্ডিশন আর নিজেদের শক্তিমত্তা বিবেচনায় এই মেগা আসরে বাংলাদেশের বড় সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। এই বিশ্বকাপ ঘিরে নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে বেশ আশাবাদী সাকিবও।
আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে তিনি বলেন, 'আইসিসির টুর্নামেন্টে কন্ডিশন সবসময় ফেয়ার থাকে। সব দলের জন্যই ব্যাপারগুলো একই রকম। আমাদের সবকিছুই ভালো করতে হবে, ভালো রেজাল্ট করতে হবে। সবশেষ বিশ্বকাপে আমাদের ভালো সুযোগ ছিল সামান্য কিছু কারণে হয়ত সফল হতে পারিনি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা যেন ওই ভুলগুলো না করি সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অবশ্যই অন্যান্য দলগুলো তাদের জায়গা থেকে উন্নতি করছে, আমাদেরকেও উন্নতি করতে হবে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হলে।'-আরও যোগ করেন তিনি।